ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চাষী দিদারের অনশন ভাঙ্গালেন এডিসি পারভেজ, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দখলদারদের কবল থেকে জমি উদ্ধার ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ২দিন ধরে কাফনের কাপড় পড়ে পরিবার নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করে খুরুশকুল তেতৈয়াা সেই চাষী দিদারুল আলম। অনশণে অসুস্থ হয়ে পড়ে চাষী দিদারের স্ত্রী ও শিশু সন্তান। বুধবার দুপুর ১২টার থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে স্ত্রী ও সন্তানসহ আমরণ অনশণ শুরু করেন দিদারুল আলম। তপ্ত রোদে অনশন করতে গিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে কাহিল হয়ে পড়ে তিনজনই। এতে এক মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের ঘিরে উৎসুক জনতা জমায়েত হয়ে পড়ে। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবাই মর্মাহত হয়ে পড়ে।

এই অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চাষী দিদারকে পানি পান করিয়ে আমরণ অনশন ভাঙ্গান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ। এসময় তিনি পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের সাথে কথা বলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের আশ^াস প্রদান করেন।

চাষী দিদার অভিযোগ করেন, তিনি তার জমিতে মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু তার জমি—বসতবাড়ির প্রতি কুনজর পড়ে সাবেক জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর কাসেম ও স্থানীয় ইমতিয়াজ বাহিনীর। জমিটি দখল করার জন্য চাঁদা দাবিসহ নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে জমি, বাড়িঘর ও মাছ চাষসহ সবকিছু দখল করে নেয়। তারপরও ক্ষান্ত হয়নি তারা। তাদের দফায় দফায় মারধরসহ নানা অত্যাচারে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া হয়েছে চাষী দিদারুল আলম। বর্তমানে পরিবার নিয়ে অনাহার—অর্ধহারে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ন্যায় বিচারের জন্য পথে পথে ঘুরছে দিদার। তাই নিরূপায় হয়ে তিনি আমরণ অনশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, অনশনের কারণে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই বিষয়টি আমার নজরে আসলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিয়ে তাঁর অনশন ভাঙ্গা হয়।

পাঠকের মতামত: